গিটার স্কেল

✦ গিটার স্কেল ✦


গিটার বাজানোর আগে গিটারটি টিউন করে নিতে হবে। টিউন করার জন্য সবচেয়ে সরু অর্থাৎ (১নং) তারকে মোটামুটিভাবে টান টান করুন। গিটারের মাথায় প্রতিটি তারকে টান দেবার বা ঢিল করার জন্য একটি করে টিউনিং (Key) আছে। ১নং (Key) কে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখুন তার টান হচ্ছে না ঢিলা হচ্ছে। সঠিকভাবে তার প্যাঁচানো থাকলে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরালে ১, ২, ও ৩ নং তার টান হবে। আর ৪, ৫ ও ৬নং এর বেলায় উল্টো। তার খুব বেশী টান হলে বাজাতে কষ্ট হবে, অতিরিক্ত টান হলে তা ছিঁড়ে যাবে। আর খুব ঢিলা হলে বাজানোই যাবে না। কতটা টান হলে তা চলনসই হবে তা বোঝার জন্য তারটিকে ফ্রেটবোর্ডের মাঝ বরাবর উপরের ২নং তারের দিকে উপরে ওঠান। আধা সেন্টিমিটারের মত সরাতে পারলে ধরে নেয়া হবে তারে টান ঠিক আছে। ১নং তার এখন টিউন হয়ে গেছে।

এবার দুনং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে পিক দিয়ে একই সাথে ১নং ও ২নং তার দুটো এক সাথে বাজান। সঠিক টিউন হলে দুটো তারের একই শব্দ শোনা যাবে। সঠিক না হলে একটা ঢেউয়ের মতো শব্দ শোনা যাবে। ২নং তারটিকে টান বা ঢিল করে দুটি তারের শব্দ এক করুন। প্রথম অবস্থায় এটি করার জন্য একটু বেশী সময় লাগতে পারে আপনাকে বার বার চেষ্টা করে যেতে হবে।

৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল চেপে আগের মতো ২নং ও ৩নং তার একসাথে বাজাতে হবে। দুটো তারের শব্দ এক না হওয়া পর্যন্ত ৩নং তারকে টান বা ঢিল করতে হবে।

৪নং তার টিউন করার জন্য, এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৪নং ও ৩ নং তার একসাথে বাজাতে হবে। দুটো তারের শব্দ এক না হওয়া পর্যন্ত ৩নং তারকে টান বা ঢিল করতে হবে।

একইভাবে ৫নং ও ৬নং তার টিউন করতে হবে। ৫নং তারের সময় ৫নং ফ্রেটে ধরে ৫ ও ৪নং তার বাজাতে হবে। ৬নং তারের সময় এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৫নং তারের সাথে বাজাতে হবে।

একবার সব তার টিউন হয়ে গেলে আবার সবগুলো তারকে দেখে নিন ঠিক শোনাচ্ছে কি না। অর্থাৎ, ২ নং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ১নং তারের সাথে বাজান। ঠিক আছে মনে হলে, ৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল রেখে ২নং তারের সাথে বাজান এভাবে সবগুলো দেখে নিন। তবে স্ট্যান্ডার্ড টিউন করতে হলে গিটার টিউনার কিংবা একটি কি-বোর্ড অথবা হারমোনিয়াম দিয়ে করতে হবে।

মেজর স্কেল (Major Scale) ক্লিক করুন


মাইনর স্কেল (Minor Scale) ক্লিক করুন




✦ স্কেলের গঠন ✦
মেজর স্কেল:
মেজর স্কেল গঠনের নিয়ম বা রুট ( W-W-H-W-W-W-H ) W = হোল টোন (Whole tone), H = হাপ টোন (Half tone)। হোল-টোনকে W দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন, C ও D এর মধ্যে দূরত্ব হলো এক হোল টোন, E ও F এর মধ্যে দূরত্ব হলো এক হাফ টোন।


মাইনর স্কেল:
মাইনর স্কেল গঠনের নিয়ম বা রুট ( W-H-W-W-H-W-W ) W = হোল টোন (Whole tone), H = হাপ টোন (Half tone)। হোল-টোনকে W দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন, A ও B এর মধ্যে দূরত্ব হলো এক হোল টোন, B ও C এর মধ্যে দূরত্ব হলো এক হাফ টোন।


স্কেল অনেক ধরনের আছে। যেমনঃ

  • Major Scale
  • Minor Scale
  • Pentatonic Scale
  • Blues Scale
  • Melodic Scale
  • Chromatic Scale
ইত্যাদি।
আরও অনেক ধরনের আছে। মিউজিকাল স্কেল এত বেশী ধরনের আছে যে একজন মানুষের পক্ষে সব ধরনের স্কেল মনে রাখা প্রায় অসম্ভব। আর এই বিভিন্ন ধরনের স্কেল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে পপুলার হচ্ছে মেজর স্কেল (Major Scale) এবং মাইনর স্কেল (Minor Scale)।
✦ স্কেল ডিগ্রি (Scale Degree) ✦
স্কেল ডিগ্রি:
স্কেল আমরা সবাই জানি কিন্তু স্কেল ডিগ্রি এটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। যাদের জানা নেই এটা তাদের জন্যই। একটা স্কেলের যে নোট থাকে যেমন C Major Scale C D E F G A B এই প্রতিটি নোটের একটা করে সঙ্গীত শাস্ত্রগত নাম আছে যেটাকে বলা হয় স্কেল ডিগ্রি। যেভাবে ভারতীয় সংগীত শেখানো হয় যেমন ( সা,রে,গা,মা,পা,ধা,নি ) ঠিক সেইভাবেই ওয়েস্টার্ন মিউজিক শেখানো হয়। যেমন ( C D E F G A B ) এবার আপনি ভাবছেন আমিতো এগুলো জানি। কিন্তু যারা সঠিক ভাবে ভারতীয় সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করে তারা ( ষড়জ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত, নিষাদ ) অর্থাৎ
  • সা = ষড়জ
  • রে = ঋষভ
  • গা = গান্ধার
  • মা = মধ্যম
  • পা = পঞ্চম
  • ধা = ধৈবত
  • নি = নিষাদ
এই ভাবে পড়াশোনা করে আর যারা ওয়েস্টার্ন মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করে তারা ( Tonic, Supertonic, Mediant, Subdominant, Dominant, Submediant, Leading tone ) অর্থাৎ
  • C = Tonic
  • D = Supertonic
  • E = Mediant
  • F = Subdominant
  • G = Dominant
  • A = Submediant
  • B = Leading tone
এই ভাবে পড়াশোনা করে। কেননা যখন চারজন ডাক্তার একসাথে বসে তখন তারা তাদের ভাষায় কথা বলে অর্থাৎ ডাক্তারী ভাষায় কথা বলে বা চারজন ইঞ্জিনিয়ার যখন একসাথে বসে তখন তারা তাদের ভাষায় কথা বলে। ঠিক সেই রকম যখন চারজন মিউজিসিয়ান এক সাথে বসে তখন তাদেরও সংগীতের একটা ভাষা আছে। যখন আপনি কোন বড়ো জাগায় যাবেন সেখানে এমনও মিউজিসিয়ান পাবেন যদি ভারতীয় হয় আর আপনকে বলে পঞ্চম সুর বাজাও বা ধৈবত সুর বাজাও ইত্যাদী। আর যদি ওয়েস্টার্ন হয় আর বলে Dominant কর্ড বাজাও যদি জানা না থাকে তখন চিন্তা করবেন Dominant কর্ড কি আমিতো Dominant কর্ড দেখিনি আসল কথা হলো Dominant বলে কোন কর্ড হয় না। আপনাকে বুঝতে যে Dominant আসলে কি বা Tonic, Super Tonic এগুলো কি সেটা জানতে হবে। ভবিষ্যতে বড়ো কোন জায়গায় গেলে শাস্ত্রগত নামই বলতে হবে বা জানতে হবে। তাই জেনে রাখা ভালো। নিচের চিত্রে দেখুন।